তুঁতচারার মাদার কাটিংস কাটা যাবে না এবং অক্ষত রাখতে হবে;
তুঁতচারা উত্তোলনের সময় ধারালো কোদাল ব্যবহার করতে হবে;
তুঁতচারা সংরক্ষণকালীন করণীয়:
তুঁতচারা ছায়াযুক্ত জায়গায় খাড়া অবস্থায় সংরক্ষণ করতে হবে;
উত্তোলিত চারা বান্ডিল করে সাথে সাথে গাছের ছায়ায় খাড়া করে রাখতে হবে;
এসময় বান্ডিলের চারিপাশে কচুরীপানা অথবা আগাছা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে;
উত্তোলিত তুঁতচারা ২(দুই) দিনের মধ্যে রোপনের ব্যবস্থা নিতে হবে;
তুঁতচারা রোপন এবং রোপনোত্তর পরিচর্যার জন্য অবশ্যই করণীয়
তুঁতচারা রোপনের ১৫ দিন আগে ১.৫ ফুট দৈঘ্য, ১. ৫ ফুট প্রস্থ এবং ১.৫ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন গর্ত করতে হবে;
প্রতি গর্তে ২ কেজি গোবর, ২৫ গ্রাম টিএসপি এবং ১৫ গ্রাম এমওপি সার ঝুরঝুরে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে মাটিতে পর্যাপ্ত রস থাকে;
গর্ত মাটি দিয়ে ভরাট রাখতে হবে। রোপনের সময় গর্তের মাটি উলট-পালট করে চারা রোপন করতে হবে। এক্ষেত্রে গর্তে পর্যাপ্ত রস থাকতে হবে;
যদি মাটিতে পর্যাপ্ত রস না থাকে তবে সাথে সাথে গর্ত করে রোপন করতে হবে এবং রোপনের পর পরিমিত মাত্রায় সার দিতে হবে;
১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম ডাইথেন এম-৪৫ এর দ্রবণে তুঁতচারার শিকড় জীবানুমুক্ত করে নিতে হবে;
চারার গোড়ার অংশ মাটির ৯ ইঞ্চি গভীরে পুঁততে হবে;
চারা থেকে চারার দূরত্ব ৪ হাত বা ৬ ফুট হতে হবে;
মাটি ঝুরঝুরা করে গর্তের মাঝখানে চারা লাগাতে হবে এবং চারা লাগানোর পর মাটি ভালভাবে চেপে দিতে হবে;
রোপনকৃত চারাকে ৬ ফুট বাঁশের খুঁটির (১ ফুট মাটির নীচে ও ৫ ফুট মাটির উপরে) সাপোর্ট দিয়ে সূতলী দ্বারা ৩টি স্থানে বাঁধন দিতে হবে;
রোপনকৃত চারার কুঁশি বের হওয়ার পর ৬ ফুট উপরে টপ কাটিং করতে হবে। টপ কাটিংয়ের ১ ফুটের মধ্যে কমপক্ষে ৫টি কুঁশি রেখে নীচের কুঁশিগুলো ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দিতে হবে;
চারা লাগানোর ৩ মাস পর প্রয়োজনীয় মাত্রায় সার প্রয়োগ করে সেচ দিতে হবে;
চারার গোড়ার মাটিতে রস না থাকলে পানি সেচ দিতে হবে;
চারা গাছ রোগ বালাই, পোকা মাকড় ও গরু ছাগলের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে;