Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ মে ২০১৬

'টেকসই রেশম চাষঃ বাংলাদেশ প্রেক্ষিত শীর্ষক কর্মশালা


প্রকাশন তারিখ : 2016-04-26

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে টেকসই রেশম চাষ: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত

শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে আজ সকাল ৯.১৫ ঘটিকায় নানকিং দরবার হলে "টেকসই রেশম চাষ: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সারাদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান প্রধান যে সকল সুপারিশ করা হয় তা হল: রেশম শিল্পের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করা, ফার্মিং সিস্টেমে তুঁতচাষ করা, রেশম সেক্টরে সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে সমন্বয় করা, কোকন এর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, স্থানীয় বাজার সৃষ্টি এবং বিক্রয়ের ব্যবস্থাকরণ, পরিচালনা পর্যায়ে দক্ষ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাদের পোষ্টিং দেওয়া, রেশম সেক্টরে প্রাইভেট এন্টারপ্রেনার তৈরী করারেশম চাষে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী কৃষিঋণের ব্যবস্থা নিশ্চিকরণ, পোস্ট কোকন পর্যায়ে উন্নত ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করাজাতীয় পর্যায়ে রেশম শিল্পের প্রচারের ব্যবস্থাকরণরেশমের উপজাতের ব্যবহার করা, রেশম বোর্ডের মনিটরিং নিশ্চিত করা, উন্নত তুঁত জাতের কীট উদ্ভাবন করা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, গুনগতমানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা, রেশম চাষে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, বিদেশী সুতা আমদানীর উপর অধিক কর আরোপ করার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে টেকনলজি ট্রান্সফার করা।

                                                                              

 উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সদর সংসদ সদস্য জনাব ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, তিনি বিভিন্ন সময় রেশম শিল্পকে পুনজীবিত করার লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা করেছেন এবং তিনি বন্ধ কারখানা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলেন। । তিনি বলেন, শুধুমাত্র তুঁত চাষ করলেই রেশম শিল্পের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়। শিল্প সেক্টরে উন্নয়ন ঘটালেই এর উন্নয়ন সম্ভব হবে। তিনি কর্মশালার সুপারিশমালার আলোকে পুন আলোচনাপূর্বক একটি পূর্ণাংগ প্রস্তাব প্রস্তুত করে বাজেটের পূর্বে দেয়ার  জন্য জানান । পরিশেষে সকলের ঐকান্তিক সম্মিলিত উদ্যোগে এ শিল্পের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে জানান। 

         

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী জনাব মো: আব্দুল হান্নান বলেন, রেশম চাষের এলাকা সংকুচিত হলেও এর উন্নয়নের অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, অনেক শিল্প আছে যেগুলো হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, চাষীদের লাভের জায়গাটি নিশ্চিত করা গেলে এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটানো গেলে এর উন্নয়ন দ্রুত হবে। ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য তিনি সকলকে একত্রে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান।

                                                                                               

কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে বোর্ডের মহাপরিচালক আনিস উল হক ভূইয়া বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বোর্ড ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে প্রকল্প প্রস্তাব প্রেরণের লক্ষ্যে কাজ করছে এবং একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের সাথে রেশম শিল্পকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও কাজ করছে। তিনি জানান এ বছর ৪ লক্ষ রেশম ডিম উৎপাদন করে চাষীদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। পার্বত্য এলাকায় রেশম চাষ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। রেশম সুতা আমদানীর উপর কর বৃদ্ধির জন্য রেশম চাষের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য এ সময়কে তিনি কাজে লাগোনোর কথা বলেন। পরিশেষে সকলকে একত্রে কাজ করা জন্য আহবান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জনাব মো: কাজী আশরাফ উদ্দিনও কর্মশালায় রেশম শিল্পের উন্নয়নের আশা ব্যক্ত করেন।

কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, বিভিন্ন এনজিও এর প্রতিনিধি, উদ্যোক্তা, ব্যাংকের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দসহ বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সচিব মোঃ জায়েদুল ইসলাম, সিবিএ সভাপতি মো: আব সেলিমসহ বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সকল স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বোর্ডের সদস্য(সম্প্রসারণ ও প্রেষনা)মো: নাজীবুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সেরাজুল ইসলাম, সদস্য(উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ)।