Array ( [id] => 6325 [subdomain] => bsb.portal.gov.bd [alias] => www.bsb.gov.bd,bsb.gov.bd [domain_type_id] => 3 [parent_id] => 124 [active] => 1 [site_mail] => [analytics_id] => 426 [template] => ministry [site_default_language] => bn [site_frontpage] => [site_offline] => 1 [last_content_updated] => 2024-04-25 05:59:52 [sitename_bn] => বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড [siteslogan_bn] => গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার [sitefooter_bn] =>
[sitemission_bn] => [meta_description] => [sitename_en] => Bangladesh Sericulture Development Board (BSDB) [siteslogan_en] => Government of the People's Republic of Bangladesh [sitefooter_en] => [sitemission_en] => [sitename] => বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড [siteslogan] => গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার [sitefooter] => [sitemission] => [type_name] => directorate )চীনকে রেশমের জন্মভূমি বলা হয়৷ দীর্ঘ ২৫০০ বছর রেশম চাষের পদ্ধতি তারা গোপন রাখলেও তা ভারতবর্ষসহ অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে৷ ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীর মোঘল আমলে ভারতে প্রচুর রেশম উত্পাদিত হ’তো ৷ নবাব আমলে তত্কালীন বৃহত্তর বাংলাদেশে রেশম উত্পাদনে যথেষ্ট উন্নতি হয়৷ বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ১৯১৪ সালে বাংলাদেশে রেশম উন্নয়নের জন্য আলাদা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ভাগে দু’টি রেশম বীজাগার এবং কিছু বেসরকারী রেশম অধ্যুাষিত এলাকা পড়ে বীজাগার দু’টো বগুড়া ও মীরগঞ্জে (রাজশাহীতে) অবস্থিত ৷ বেসরকারী রেশম উত্পাদন এলাকা ছিল ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ও মীরগঞ্জে৷ ১৯৪৭ সালের পাক ভারত বিভক্তির পর ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রেশম কার্যক্রম শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের অধীনে ন্যস্ত ছিল৷ ১৯৬০-৬১ সালে রেশম কার্যক্রম ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্হা (ইপসিক)র অধীনে ন্যস্ত হয়৷ এ সময়ে রোগমুক্ত রেশম ডিম উত্পাদন করার জন্য মীরগঞ্জ ও বগুড়া ছাড়া আরও ১০টি রেশম বীজাগার, রেশম চাষ বিস্তারের জন্য ২২টি রেশম সম্প্রসারণ ও প্রদর্শনী কেন্দ্র, রেশম চাষীদের উত্পাদিত রেশম গুটি ক্রয় এবং রেশম সামগ্রী তৈরীর জন্য রাজশাহী রেশম কারখানা এবং রেশমের উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট স্হাপন করা হয়৷ ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সমগ্র রেশম কার্যক্রম বিসিক-এর আওতায় পরিচালিত হ’তো৷ ১৯৭৪ সালে নাটোর উত্তরা গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজশাহীর রেশম বস্ত্র দেখে চমৎকৃত হন এবং রেশম শিল্প বিকাশে স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তারই ফসল হিসেবে পরবর্তীতে ঐতিহ্যবাহী রেশম শিল্পের ব্যাপক সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ রেশম বোর্ড গঠিত হয়। পরবর্তীতে ০৬ মার্চ/২০১৩ সালের ১৩ নং আইন বলে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড, রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট এবং সিল্ক ফাউন্ডেশন এই ৩টি প্রতিষ্ঠানকে একীভুতকরণের মাধ্যমে পূর্ণগঠিত হয় “বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড” যা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। যার প্রধান কার্যালয় রাজশাহীতে অবস্থিত। ইহা একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান।