Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ ডিসেম্বর ২০২২

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচিতি:

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং এর প্রধান কার্যালয় রাজশাহীতে অবস্থিত।

প্রতিষ্ঠা : ১৯৭৪ সালে নাটোর উত্তরা গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজশাহীর রেশম বস্ত্র দেখে চমৎকৃত হন এবং রেশম শিল্প বিকাশে স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তারই ফসল হিসেবে পরবর্তীতে ঐতিহ্যবাহী রেশম শিল্পের ব্যাপক সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ রেশম বোর্ড গঠিত হয়। চেয়ারম্যান ছিলেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোই ছিল এ সংস্থার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। বোর্ড সৃষ্টির পূর্বে এ শিল্পের সংগে জড়িত লোকসংখ্যা ছিল মাত্র ৩৫ হাজার। বর্তমানে দেশে এ শিল্পের সংগে জড়িত লোকসংখ্যা ৬.৫০ লক্ষ যার অধিকাংশই গ্রামীণ মহিলা।

 

১৯৪৭ সালের পর পূর্ব পাকিস্থানে রেশম কার্যক্রম শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের অধীনে ন্যাস্ত ছিল। ১৯৬১-৬২ সাল থেকে ১৯৭১ সালের পূর্ব পর্যন্ত রেশম কার্যক্রম ইপসিক এর নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৯৯৭ সালে কোম্পানি আইনে বাংলাদেশ সিল্ক ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটকে রেশম বোর্ডের আওতামুক্ত করে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে রেশম শিল্পের সমন্বিত উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড, বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ সিল্ক ফাউন্ডেশন ৩টি পৃথক সংস্থা একীভূত করে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত রেশম উন্নয়ন বোর্ডের ১৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী। রেশম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করছেন সংস্থার মহাপরিচালক।

বোর্ডের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ৪টি বিভাগ রয়েছে; যথাঃ- (১) প্রশাসন ও সংস্থাপন বিভাগ, (২) অর্থ ও পরিকল্পনা বিভাগ, (৩) সম্প্রসারণ ও প্রেষণা বিভাগ এবং (৪) উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বিভাগ। এ ছাড়াও গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটসহ এমআইএস সেল, নিরীক্ষা শাখা, জনসংযোগ শাখা সরাসরি মহাপরিচালকের অধীনে ন্যাস্ত রয়েছে। বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের নুতন অর্গানোগ্রাম প্রণয়নের বিষয়টি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।