Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ জানুয়ারি ২০২১

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি মহোদয়ের রাজশাহী রেশম কারখানা পরিদর্শন এবং মতবিনিময়


প্রকাশন তারিখ : 2021-01-10

রাজশাহী/১০-০১-২০২১

       আজ বিকাল ৪.০০ ঘটিকায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি  মহোদয় রাজশাহী রেশম কারখানা, রেশম পণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র, রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেন। এর পূর্বে তিনি বিকাল ৩.০০ টায় বোর্ডের সভাকক্ষে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং সকালে মোহনপুর চাকী সেন্টার ও রেশম সম্প্রসারণ এলাকা পরিদর্শন করেন।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় মন্ত্রী ও সচিব মহোদয় রাজশাহী রেশম কারখানার পূর্বের ৬টিসহ ১৯টি পাওয়ার লুমের উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  মাননীয় মন্ত্রী জনাব গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি জাতির পিতার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের  সভায় তিনি ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতাকে স্মরণ করেন এবং জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি রেশম শিল্পের উন্নয়নের বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন এখানে আয় কম, ব্যয় বেশি যা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে হবে এবং লাভজনক ও গুণগতমান কিভাবে উন্নত করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। বারবার আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন রাজশাহী রেশমের জন্য বিখ্যাত। তাই তিনি পণ্যের গুণগতমান উন্নয়নের মাধ্যমে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

পরিদর্শন ও মতবিনিময়কালে  মন্ত্রী মহোদয়কে অবহিত করা হয় যে,  ২০০২ সালে বন্ধকৃত রাজশাহী রেশম কারখানা রেশম সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক চেষ্টা ও সহযোগিতায় চালু করা সম্ভব হয়েছে । বর্তমানে  কারখানার ৩৮টি পাওয়ার লুম মেরামত করা হয়েছে এবং আরো ৪টি লুম মেরামত করার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩৫৪৮ মিটার  কাপড় উৎপাদন করা হয়েছে এবং ২৭ লক্ষ টাকার কাপড় বিক্রয় করা হয়েছে।  রাজশাহী রেশম কারখানা চত্ত্বরে অবস্থিত রেশম পণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে রাজশাহী  রেশম কারখানায় উৎপাদিত ব্লক, স্ক্রীন প্রিন্ট শাড়ী, গরদ শাড়ী, ডুপিয়ন সার্টিং, বলাকা, মটকা ইত্যাদি থান কাপড়, উত্তরীয়, টুপিস কাপড় বিক্রয় করা হচ্ছে ।  উল্লেখ্য, রাজশাহী  ও ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানার মোট ২৪টি লুম মেরামতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই অর্থ বছরের মধ্যে মোট ৬২টি লুম মেরামত করা সম্পন্ন হবে।

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক কার্যক্রম প্রকল্প নির্ভর। অন্যদিকে রেশম চাষ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে ২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। ''রেশম চাষ সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য জেলাসমূহে দারিদ্র বিমোচন” এবং "রেশম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলার দারিদ্র হ্রাসকরণ” শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে  ২৫(পঁচিশ) হাজার হতদরিদ্র বিশেষত মহিলাদের কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং ৩০ মেট্রিক টন কাঁচা রেশম উৎপাদন সম্ভব হবে। এছাড়া ৩০০টি ব্লক এবং ২৭টি আইডিয়াল রেশম পল্লী স্থাপন এবং ১৫২০টি পলুঘর তৈরি করা সম্ভব হবে।

 

তিনি রেশম চাষিদের উৎপাদিত গুটি থেকে খাঁটিঁ রেশম কাপড় উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায় ঘুরে ঘুরে দেখেন। তিনি কারাখানার রিলিং, থ্রোইং, উইভিং এবং প্রিন্টিং উইনিট এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন এবং দিক নির্দেশনা দেন। পরিদর্শন শেষে তিনি রেশম পণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে কারখানায় তৈরি রেশম কাপড় পর্যবেক্ষণ করেন।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড পর্ষদের জ্যেষ্ঠ ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব ফজলে হোসেন বাদশা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব লোকমান হোসেন মিয়া, সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাননীয় এমপি জনাব আদিবা আনজুম মিতা। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের মহাপরিচালক জনাব মু: আবদুল হাকিম,

এ সময় বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ শাহ আলম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) জনাব মো: অলিউল্লাহ এনডিসি, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক (গবেষণা ও প্রশিক্ষণ) জনাব একেএম আমিরুল ইসলাম, পরিচালক (অর্থ ও পরিকল্পনা) এম.এ. মান্নান, মন্ত্রী মহোদয়ের একান্ত সচিব জনাব পরিতোষ হাজরা, পরিচালক (উৎপাদন ও বিপণন) মোছা: নাছিমা খাতুন, পরিচালক (প্রশাসন) সৈয়দ মোস্তাক হাসান, পরিচালক (সম্প্রসারণ) মোহাম্মদ এমদাদুল বারী, সচিব মহোদয়ের একান্ত সচিব জনাব মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞা সহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং   বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।